প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদী ভেষজ হচ্ছে “অশ্বগন্ধা”। এটি ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রে অত্যাশ্চর্য ভেষজ নামেও পরিচিত।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনস্বীকার্য ।
মানসিক চাপ থেকে মুক্তির ঔষধ হিসেবেই অশ্বগন্ধা মূলত সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। তাই একে অ্যাডাপ্টোজেনও বলা হয় ।
বৈজ্ঞানিক নাম উইথানিয়া সমনিফেরা (Withania Somnifera) হলেও অশ্বগন্ধার নামটি মূলত এসেছে এর গাছের শিকড় থেকে।
গাছের মূল থেকে ঘোড়ার মতো এক ধরনের গন্ধ আসে, তাই এক অশ্ব বা ঘোড়ার সাথে মিল রেখে অশ্বগন্ধা নামকরণ করা হয়েছে।
অ্যালকালয়েড, স্ট্রেরয়ডাল ল্যাক্টনস, ট্যানিনস, স্যাপোনিনস ছাড়াও প্রচুর এন্টিওক্সিডেন্ট থাকায় অশ্বগন্ধাকে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন সহ যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার বিভিন্ন ঔষধের মুল উপকরণ হিসেবে অশ্বগন্ধাকে বিশ্ব ব্যাপী ব্যাবহার করা হয় । এছাড়াও বিভিন্ন বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ যেমন: উইথানন, উইথাফেরিন এ, ডি, ই , উইথাননোলাইড ইত্যাদি অশ্বগন্ধায় আছে যা ক্যান্সার ও বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগের প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
এছাড়াও যৌনক্ষমতা বিষয়ক সমস্যা ও অন্যান্য প্রদাহ প্রতিরোধে এ সকল উপাদান বেশ কার্যকর।
গরিবের জিনসেং খ্যাত বাংলাদেশের অরণ্যের অভয়ারণ্যের ন্যাচারস অশ্বগন্ধার ব্যাবহারে উপকারিতা –
- অনিদ্রা দূর করে
- যৌন চাহিদা তৈরি করতে পারে
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রন করে
- বার্ধক্য দূর করতে সহায়ক
- ইনসোমনিয়া দূর করে
- শরীর কে পেশীবহুল করতে সহায়ক
ব্যাবহারবিধি –
* ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ অথবা পানির সাথে ১ চা চামচ অশ্বগন্ধা মিশিয়ে খেতে হয় রাতে শোবার ৩০ মিনিট আগে ।
* যারা শরীর চর্চা করেন তারা ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে ১ টি ডিম মিশিয়ে তাতে আধা চা চামচ অশ্বগন্ধা মিশিয়ে স্প্লিমেন্ট হিসেবে খেতে পারেন ।
সতর্কতা –
* রক্ত পাতলা করায় সাহায্য করে অশ্বগন্ধা তাই অস্ত্রোপচার করার আগে বা পরে অশ্বগন্ধা গ্রহন থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ থাকবে।
* অশ্বগন্ধা খেলে ঘুম ভালো হয় তাই আলাদা করে ঘুমের ঔষধ না খাওার পরামর্শ থাকবে ।
* অন্ত্রের ক্ষত, প্রদাহ, আলসার , কিডনি ও আই বি এস এর রোগীদের অশ্বগন্ধা ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে । বুকের দুধ পান করান এমন মা এবং বয়ঃসন্ধি কালে থাকা কিশোরী ও গর্ভবতী মহিলাদের ব্যাবহার বিশেষভাবে নিষেধ করা হচ্ছে ।
Reviews
There are no reviews yet.